রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর বই রিভিউ॥ Book Review Bangla

রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর বই রিভিউ,Book Review Bangla

 মানুষ ব্যর্থ হয় এটি তার প্রাকৃতিক নিয়ম। তবে একজন মানুষ ব্যর্থ হওয়ার পর নিজেকে আরেকবার সুযোগ না দেওয়া সবচেয়ে অবহেলার কাজ। এটি আমার কোনো কথা নয়, এটি বলেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী। 


আজকে তার লেখা বই রোড টু সাকসেস নিয়ে আলোচনা করবো। বইটি আমি পড়েছি কয়েকমাস পূর্বে। বইটি পড়ার সময় অনেক গড়ালেও বইটির প্রতি পাতার লেখা এখনো প্রায় মনে আছে। বাংলাদেশের সব মোটিভেশনাল বই গুলো যদি এক জায়গায় করি। তাহলে রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর লেখা বইটি শীর্ষ স্থান দখল করে নিবে। 


আমার মনে হয় না বাংলাদেশে আর কোনো লেখকের এমন মোটিভেশনাল বই পাবেন। রোড টু সাকসেস বই বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নিকট জনপ্রিয় হয়েছে। এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে বইটি লেখক দশম মুদ্রণ বাহির করেছেন।


 একটা কথা শিকার না করলেই নয় বইটিতে অতিরিক্ত মোটিভেশন দিয়েছে। যা কিছুটা বিরক্তিকর হলেও পাওয়ার ফুল একটি বই সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর লেখা রোড টু সাকসেস। তো চলুন বইটি সম্পর্কে আরো জানি।


বইয়ের নাম: রোড টু সাকসেস 
ক্যাটাগরি: মোটিভেশনাল বই 
লেখক: সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী
প্রকাশক:দাঁড়িকমা প্রকাশন 
পৃষ্ঠা সংখ্যা:102
মূল্য: দুইশত টাকা


স্টেপ বাই স্টেপ মনোমুগ্ধকর ভাবে সাজানো বইটি। প্রথমে এই বইটিতে পাঠক আকর্ষণীয় চ্যাপ্টার দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি বইটির একটা চ্যাপ্টার পড়েন। আমি নিশ্চিত আপনাকে দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে কী রয়েছে, পড়তে যেতে হবে। 


আপনি এইভাবে বইটি পড়ে শেষ করবেন কখন যানবেনই না। যাই হোক অনেক কথা বললাম তবে বইটি কাদের জন্য লেখা এখনি তা বলা হয়নি। বইটি তার জন্য লেখা যে এখন এই লেখাটি পড়ছেন। নিশ্চয়ই সেই লোক আপনি। আপনার জন্যই লেখা রোড টু সাকসেস বইটি। 


আপনার যদি খুব হতাশা থাকে তা কাটাতে পারবেন। কেউ কেউ আছে কোনো কাজে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। তারা আর কাজ করার মত মোডে থাকে না। তাদের জন্য অক্সিজেনের মতো কাজ করবে রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর লেখা বইটি। তো চলুন প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি চ্যাপ্টার দেখি। 



১. চ্যালেঞ্জিং 

চ্যালেঞ্জিং শব্দটি এই বইয়ের প্রথম দ্বিতীয় ও আরো কয়েকটি চ্যাপ্টারে পাবেন। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে চ্যালেঞ্জিং শব্দের সাথে আরো কিছু যোগ আছে।


 তাই সরাসরি এই বিষয়ে আলোচনা করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। আমাদেরকে আল্লাহ সেরা করেই সৃষ্টি করেছেন। সো সফলতা পেতে আরো কী আমাদের সেরা হতে হবে? না ব্যপারটি তেমন নয় আপনাকে সেরা হতে হবে না। কারন আল্লাহ আপনাকে দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা ব্যাক্তি করেই সৃষ্টি করছে। 


সফলতা পেতে আপনাকে এখন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। বেশি বেশি অধ্যবসায় করতে হবে তবেই সফল হতে পারবেন।  আমাদের মধ্যে রিক্স বা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার হার অনেক কম। যার কারনে প্রায় সময় ব্যর্থ হই। একজন ব্যাক্তি চ্যালেঞ্জ না নিলে কখনো নতুন কাজ করতে পারবে না। 


আর কাজ না করলে সফলতার কথা ভাবাই যায় না। তাই আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার অভ্যাস করতে হবে। 


২. ঘটনায় সুখ নয়; সুখ থাকে ভাবনায়


আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনা গুলো থেকে আমরা কেউ ভালো কিছু লাভ করি। কেউ খারাপ অনুভব করে। এই যে একটা ঘটনা আপনি কীভাবে অনুভব করলেন। এর মধ্যেই মুলত সুখ দুঃখ থাকে।  


সুতরাং কেমন ভাবে ঘটনাটি নিলেন এর মধ্যেই থাকে হাসি কান্না।এই লেখাটিতে আমি দশে দশ দিবো!জানি না আপনি কী দিবেন। চ্যাপ্টারটি পাবেন ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায়। এখন তো আপনি বলতে পারবেন কেনো মানুষ অসুখী? 


আমিও বলতে পারবো কারন। আমি রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর লেখা এই চ্যাপ্টারটি থেকে এটি শিখেছি। এই বইটি  না পড়লে হয়তো জানতাম না। সুখি আমরা নিজেরাই হতে পারি ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। 



৩. ব্যক্তিত্ব  গঠন করতে হবে


ব্যক্তিত্ব এমন একটি বস্তু যা। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকে পরিচিত করিয়ে দেয়। উক্ত মানুষটি কেমন হতে পারে। বাংলা প্রবাদটি নিশ্চয় সবার মনে আছে। শাখা কী তার পরিচয় লাগে না, ফলেই তার পরিচয় বহন করে। 


আমাদের ব্যপারটিও এমনি আমাদের পরিচিতি দেয় আমাদের ব্যক্তিত্ব। আমরা যদি ব্যক্তিত্বটাকে নষ্ট করে ফেলি তাহলে কেউ আমাদের চিনবেনা। সবাই ইগনোর করবে খারাপ ভেবে। তবে আপনার ব্যক্তিত্ব যদি ভালো থাকে। 


দেখবেন সমাজে আপনার মর্যাদা কতটুকু বৃদ্ধি পায়। সবাই আপনাকে সম্মান করবে সো এমন ব্যক্তিত্ব তৈরি করুন। যেনো আপনার ব্যক্তিত্ব দেখে আপনাকে সম্মান করে। 



৪. নিজেকে আবিষ্কার করুন


আমরা সত্যি কথা বলতে নিজেদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। দুএকটা কাজে ব্যর্থ হলে ভাবি ধুর! এটি আমার ধারা হবে না। অথবা ভাবি ধুর কিছুই করতে পারিনা। এককথায় বলতে গেলে নিজেদের প্রতি। 


একটি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে আমাদের। যার কারনে আমরা এই সব ভাবতে পারি। এবং অনেক কাজ করা থেকে বিরত থাকি। যে কাজটি করলে হয়তো আপনি পারতেন। আপনি যানেনও না এমনও শক্তি আপনার আছে। 


যেকাজ আপনি করার অনসাহস করছেন। সেটি হয়তো এক মিনিটে করতে পারবেন। ভাই পাম্ম দিচ্ছি না কিন্তু! নিজেকে আবিষ্কার করুন। দেখুন কত জ্ঞানী ব্যক্তি আপনি। 



শেষ কথা: 

রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী স্যারের বইটি পড়ে। আমার ভিতরের এনার্জি ১০০% বৃদ্ধি পেয়েছিলো। বইটি পড়ে অনেক ভালো অনুভব করেছি।


 অন্য কোনো বই পড়ে এমন হয়নি। তার আরো বই আছে তার মধ্যে অন্যতম দ্যা হিডেন পাওয়ার উইকি। রোড টু সাকসেস সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তীর লেখা বইটির হার্ড কপি কিনে আপনিও পড়ে দেখতে পারেন। এটি পেয়ে যাবেন আপনার আশপাশের লাইব্রেরি গুলোতে অথবা অনলাইন বুক শপ গুলোতে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url