৫টি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় ২০২২॥ পড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়/ Educational Tips

 

৫টি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় ২০২২॥ পড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

আপনি কী বলতে পারবেন ধন সম্পদের চেয়ে বেশি কাজে লাগে কী? নিশ্চয়ই বলছেন জ্ঞান আর হ্যাঁ  এটিই কোনো কোনো, সময় সম্পদের চেয়ে বেশি কাজে লাগে। জ্ঞানী হতে চাইলে অবশ্যই পড়তে হবে। পৃথিবীতে যত জ্ঞানী ছিলেন, এখনো রয়েছেন তারা সবাই অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জ্ঞানী হয়েছিলেন।


 তবে ডিজিটাল যুগে আমাদের একটি সমস্যা হয়েছে। পড়াশোনায় মন বসে না। পড়তে বসলে উদাস লাগে মনে পড়ে ফেইজবুকের কথা। আপনার পোস্টে কটা লাইক পড়লো ইত্যাদি। যার কারনে পড়তে বসলেও পড়া হয়ে ওঠে না। 


আজকে জানবো কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়, পড়ালেখাই মনোযোগী হওয়ার উপায় কী। কীভাবে পড়াশোনায় মন বসাবেন ইত্যাদি নিয়ে। 


১. সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার হ্রাস করতে হবে

৫টি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় ২০২২॥ পড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়



এমন কাউকে পাবেন কী ডিজিটাল যুগে এসেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেনা। সত্যিকার অর্থে এমন লোক খুঁজে পাওয়া বিরল। অনেকে আছে সকাল  বেলা ঘুম থেকে উঠে। 


আগে ফেইজবুক নোটিফিকেশন চেক করে। আপনি যদি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। আর এর ব্যবহার যদি হ্রাস না করতে চান তাহলে, পড়ার সময় মোবাইল ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখবেন।


কেননা ডাটা কানেকশন অন থাকলে আপনার মনোযোগ নষ্ট করবে। একটি নোটিফিকেশন আসলে সবার আগে আপনার মন চেক করতে যাবে। ফলে আপনার আর পড়া হবে না। 



২. টাইম সেট করা 

৫টি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় ২০২২॥ পড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়


সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আপনি যদি সময়কে কোনো রুলসের ভিতর না এনে। পড়ালেখা শুরু করেন তাহলে আপনি বেশি দিন পড়াশোনায় মনোযোগ টিকাতে পারবেন না। পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চাইলে অবশ্যই টাইম সেট করতে হবে। 


তবে এক দিনই  একনাগাড়ে বেশিক্ষণ পড়বেন না। একটু একটু করে টাইম অনুযায়ী পড়বেন। প্রতিদিন অবশ্যই টাইম বাড়িয়ে নিবেন। দেখবেন ধীরে ধীরে এটি আপনার অভ্যাস হয়ে গেছে। তখন পড়াশোনায় মনোযোগ অটোমেটিক থাকবে। টাইম সেট করার ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে পারে ঘড়ি। অবশ্যই আমাদের সবার মোবাইলে ঘড়ি এপ্লিকেশন রয়েছে। ঘড়ি এপ্লিকেশনটি ওপেন করলে দেখতে পারবেন চারটি অপশন রয়েছে। 


তার মধ্যে থেকে কর্নারে পাবেন টাইমার টুল। এই টুলে আপনি একটি টাইম সেট করে পড়তে বসবেন। দেখবেন টাইম শেষে ঘড়িটি এলাম দিচ্ছে। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ঘড়িটিতে বিরতি দেওয়ার অপশনও রয়েছে। 



৩. কখন পড়লে ভালো হবে?


কখন পড়বেন বা কখন পড়তে ভালো লাগে? এটি আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। কখন আপনি পড়তে বসলে মনোযোগ বেশি থাকে। যদি আমাকে সাজেস্ট করতে বলেন তাহলে আমি বলবো পড়ালেখা করার বেটার সময় সকাল, বিকাল।


 তবে সকালকেই পড়াশোনা করার জন্য বেশি প্রাধান্য দিবেন। টাইম অনুসারে সকালে ঘুম থেকে উঠে। ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসবেন এতে পড়ালেখায় মনোযোগ থাকবে। কারন সকাল বেলা পরিবেশ শান্ত থাকে। আর আপনার মস্তিষ্কও থাকে ফ্রেশ যার ফলে। পড়ায় মনযোগী হওয়ার পসিবিলিটি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।


 আর বিকেল টাইমটাও মোটামুটি পড়াশোনার উপযোগী সময়। এটি সেরা একটি পড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়। ব্যবহার করেই দেখুন একবার।


৪.জায়গা ঠিক করুন


জায়গাটাও ব্যাপক ভুমিকা রাখতে পারে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে। তাই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চাইলে অবশ্যই ভালো জায়গা সিলেক্ট করতে হবে। ধরেন পড়াশোনা করার জন্য আপনি এমন একটা জায়গা নিলেন। 


যেখানে প্রচুর শব্দ অথবা টেলিভিশন রয়েছে সেখানে। এমন জায়গা সিলেক্ট করে পড়তে বসলে। পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন না। বার বার টেলিভিশনের শব্দে আপনার মনোযোগ নিয়ে নিবে। তাই শান্ত একটি জায়গা সিলেক্ট করুন যেখানে কোনো কোলাহল নেই। এমন জায়গায় সবার মনোযোগ পড়াশোনায় টিকবে। 


৫. নিজেকে সারপ্রাইজ দিন

পড়ায় মনোযোগী হওয়ার এই পদ্ধতিটাও দারুন। ধরেন আপনার আম্মু একটা কাজ করতে বললো। সেই সাথে বললো এই কাজটি সম্পূর্ণ করলে একটি জিনিস দিবেন। আপনার মস্তিষ্ক তখন জানতে চাইবে। কী উপহার দিবে।


 আর এই উপহারের জন্যই আপনাকে ঐ কাজ করতে হবে। বা আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে দিয়ে উক্ত কাজ করিয়ে নিবে উপহারের লোভে। 


আপনি যদি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাহলে আর প্রশ্ন করবেন না কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়? তবে সেই উপহার দিছিলো আপনার আম্মু এখন আর আম্মুর দিলে চলবে না। আপনাকে আপনাকেই সারপ্রাইজ দিতে হবে। 

ইংরেজি শেখার সহজ উপায়    


শেষ কথা: 

আমরা অনেক গুলো পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে বললাম। আপনি এই টিপস গুলো ফলো করেন ইনশাআল্লাহ উপকার পাবেন। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url